ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন- গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থা’ই কুফরী ও শিরকি মতবাদ- ইসলাম বিরোধী ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় দেশবাসী গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মেনে চলার মাধ্যমে ইসলাম ও আলকুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সংবিধানের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন মূলতঃ আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রব্ব ও ইলাহ্ মেনেই অনুষ্ঠিত হয়।
সুতরাং, কোন ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সংবিধান মেনে নিলে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ঈমান ও আমল ধ্বংস হয়ে নিশ্চিত ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
‘ইসলামী সমাজ’ খুলনা বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর দায়িত্বশীল জনাব মোঃ আলী জিন্নাহ’র সভাপতিত্বে ১৫ নভেম্বর ২০২৫ইং, শনিবার, কুষ্টিয়া হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে- “ইসলাম ও মানবতা বিরোধী সকল ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে” অনুষ্ঠিত ‘আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন সমাবেশে’
ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, গণতান্ত্রিক কিংবা মানব রচিত ব্যবস্থা ভিত্তিক রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের আনুগত্যের অধীনে বন্দি থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত চিরস্থায়ী ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
গণতন্ত্রের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন এবং এসবকে সমর্থন করলে ঈমান ও আমল সবই বিনষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র লড়াই নয়! আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আলকুরআন বিরোধী সংবিধান মূলোৎপাটন করে আলকুরআনের আইন-বিধান সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব এবং এটাই জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভের একমাত্র উপায়।
আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে আলকুরআনের আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হলেই সকল মানুষের সকল ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, সকল ধর্মের লোকেরা শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালণ করতে পারবে এবং দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে।
ইসলামী সমাজের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টাই কল্যাণ ও মুক্তির একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ‘ইসলামী সমাজ’ গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থা এবং এসবের ভিত্তিতে রচিত সকল প্রকার সংবিধান ত্যাগ, অস্বীকার ও অমান্য করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে আলকুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
‘ইসলামী সমাজ’ খুলনা বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর সহকারী দায়িত্বশীল জনাব আবু শামাহ্ ও ঝিনাইদহ জেলা দায়িত্বশীল জনাব ইজাজুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- খুলনা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্বশীল জনাব আসাদুজ্জামান বুলবুল, কুষ্টিয়া জেলা দায়িত্বশীল আনসার আলম, রাজবাড়ী জেলা দায়িত্বশীল রফিকুল ইসলাম, মাগুরা জেলা দায়িত্বশীল রানা ইসলাম এবং মেহেরপুর জেলা দায়িত্বশীল জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
