www.islamisomaj.com islamisomaj, islami somaj, ইসলামী সমাজ, ইসলামী সমাজ অফিসিয়াল ওয়েব সাইট, আমীর ইসলামী সমাজ, দাওয়াতী সংঘঠন, ইসলাম, islamisomaj.com
সর্বশেষ:
Home » নিয়মিত পোষ্ট » গণতন্ত্রের নির্বাচন, গণআন্দোলন, সেনা ক্যু এবং সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ।

গণতন্ত্রের নির্বাচন, গণআন্দোলন, সেনা ক্যু এবং সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়- আমীর, ইসলামী সমাজ।

‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সার্বভৌমত্বের মালিক, আইন-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা মেনে নিলে এবং আলকুরআন বিরোধী সংবিধান ও এরই ধারক-বাহক নেতা বা সরকারের আনুগত্য স্বীকার করলে আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা হয়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় জনগন সার্বভৌমত্বের মালিক, জনপ্রতিনিধিগণ আইনদাতা-বিধানদাতা ও সরকার হয় শাসনকর্তা এবং গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত আলকুরআন বিরোধী সংবিধান ও এরই ধারক-বাহক সরকারের আনুগত্য স্বীকার করা হয় বিধায়; ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্র কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা- ইসলাম বিরোধী মতবাদ-জাহান্নামের পথ।

তিনি বলেন, যেহেতু গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের আনুগত্য স্বীকার করেই অনুষ্ঠিত হয় সেহেতু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ইসলাম বিরোধী অপরাধ, ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্ত্রের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কুফর এবং শিরক।

‘ইসলামী সমাজ’ চট্টগ্রাম জেলা’র দায়িত্বশীল, মোঃ জামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে “ইসলাম ও মানবতা বিরোধী সকল ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি” বিষয়ে আজ ৬ ডিসেম্বর, শনিবার, বিকাল ৩ টায়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল খালেক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায়

‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতন্ত্রের নির্বাচন, গণআন্দোলন, সেনা ক্যু এবং সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়।

ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণের সমাজ গঠন আন্দোলন’ই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদাগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পদ্ধতি।

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) মক্কায় প্রতিষ্ঠিত জাহিলি সমাজের লোকদেরকে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে দাওয়াত কবুলকারী ঈমানদারগণকে তাঁর নেতৃত্বের আনুগত্যে ঐক্যবদ্ধ করে জাহিলি সমাজের বিপরীতে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন গড়ে তুলেন।

মক্কী জীবনের ১৩ বছরের আন্দোলনে সবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে একতরফা নির্যাতিত হয়েছিলেন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ’ই মদীনায় অনুকূল পরিবেশ গঠন করে রাসূল (সাঃ) কে মদীনায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব দান করেছিলেন।

রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পরই তিনি পর্যায়ক্রমে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে ইসলাম বিরোধী আইন মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তখনই বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র লড়াই করেছিলেন।

এভাবেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সুতরাং, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের আগে নয়, বরং রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পর বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সশস্ত্র লড়াই করার বৈধতা ইসলামে আছে।

তিনি বলেন, ‘ইসলামী সমাজ ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমেই আমীরের নেতৃত্বের আনুগত্যে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর অনুসরণ ও অনুকরণে আলকুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সমাজের বিপরীতে সবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে দাওয়াত কবুলকারীগণের সমাজ গঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে যখন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব তথা খিলাফত দান করবেন, তখন আমরা পর্যায়ক্রমে ইসলাম বিরোধী আইন মূলোৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ। দল-মত সকলকে তিনি ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।

‘ইসলামী সমাজ’ চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ আজমুল হক এর সঞ্চালনায় আরও আলোচনা করেন- জনাব মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, আমীর হোসাইন, মোঃ রুহুল আমীন, মোঃ হুমায়ূন কবির, গুলজার আহম্মদ, মোঃ রমজান আলী, ওসমান গণি ও হাফেজ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

islamisomaj

উপরে যান