দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করে ইসলামী বিধানে দেশ পরিচালনার আহবান ইসলামী সমাজের।

ইসলামী সমাজ এর আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারী জোট এবং সরকার বিরোধী জোট এক ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এর ফলে জাতীয় জীবনে চরম হতাশা ও দুর্দশা নেমে এসেছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের মানুষ দিশেহারা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের অধিকাংশ মানুষ ভাল নেই। আমাদের বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে মানুষের উপর চরম জুলুম নির্যাতন চলছে। এসবের মূল কারণ হচ্ছে- আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনা করা।
আজ ১১ নভেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ১১ টায় ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিন সাহেবের সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে দেশে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষময় অবস্থার মৌলিক কারণসমুহ এ নাজুক অবস্থা থেকে উত্তোরণের উপায় এবং ইসলামী সমাজের অবস্থান” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইজরাঈলের আক্রমণ ও নিরীহ মুসলিমদের উপর জুলুম-নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতাসীনদেরকে ফিলিস্তিনে গাজাবাসীদের উপর ইসরাইলের বর্বোরচিত আক্রমন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
ইসলামী সমাজের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতাসহ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত মানবরচিত ব্যবস্থা ত্যাগ করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামের আইন-বিধান গ্রহণ করাই শোষন, জুলুম ও সহিংসতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। সেই লক্ষ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী সমাজ। সরকারী জোট এবং সরকার বিরোধী জোটসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে মানব রচিত ব্যবস্থা পরিহার করে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে মহান আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সকলে এগিয়ে আসুন। এতে সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পরকালেও নাজাতের ব্যবস্থা হবে। এসময় তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহবান জানান এবং এ লক্ষ্যে ১৩ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং পর্ন্ত ইসলামী সমাজ গৃহীত শান্তিপূণ ৩দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন- ১। দেশে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষসহ সকল প্রকার বিপদ থেকে বাঁচার লক্ষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ রহমত লাভের জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মুনাজাত, ২। প্রশাসনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট ইসলামী সমাজের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি প্রদান এবং ৩। ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে কমপক্ষে ৫টি পথসভা এবং ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ইং কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন কুশিয়ারা খানবাড়ী বালুর মাঠে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী সমাজের বিভাগীয় দায়িত্বশীল- মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, মুহাম্মাদ ইয়াছিন, সোলায়মান কবীর, আমীর হোসাইন, মোঃ নুরুদ্দিন, মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ, মোঃ আজমুল হক, মোঃ সেলিম মোল্লা, হাফিজুর রহমান, আসাদুজ্জামান বুলবুল, মোহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দীক ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

উপরে যান