গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নত্তোর
ইসলাম কি?
উত্তর: ইসলাম হচ্ছে- মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন গঠন এবং পরিচালনার জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত প্রয়োজনীয় আইন-বিধান সম্বলিত কল্যাণকর ও পরিপূর্ন একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।
ইসলামের মূল বিষয় কি?
উত্তর: ইসলামের মূল বিষয় হচ্ছে- আল্লাহর প্রতি ঈমান। আল্লাহর প্রতি ঈমান হচ্ছে- (আল্লাহর রুবুবিয়্যাতে তাওহীদ) অর্থাৎ: সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়।
এটা মূলতঃ আল্লাহর প্রতি ঈমানের মূল বিষয়। আল্লাহর প্রতি ঈমান গ্রহণের অর্থ হচ্ছে- জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকেই একমাত্র রব্ব হিসাবে জানা, বুঝা, মেনে নেয়া এবং গ্রহণ করা।
অর্থাৎ- সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দৃঢ় বিশ্বাসের ভিত্তিতে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব গ্রহণ করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফলশ্রুতি কি?
উত্তর: আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফলশ্রুতি হচ্ছে- (আল্লাহর উলুহিয়্যাতে তাওহীদ) অর্থাৎ: দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয়।
আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফলশ্রæতি গ্রহণের মানে হলো- সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর গ্রহণ করা বা মেনে নেয়া।
অর্থাৎ- সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সর্বাবস্থায় একমাত্র আল্লাহর গোলামী করা, আল্লাহর দেয়া আদেশ নিষেধ পালন করা এবং উপাসনা একমাত্র আল্লাহরই জন্য করা।
আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফলশ্রুতির বাস্তবায়ন কি?
উত্তর: আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফলশ্রুতির বাস্তবায়ন হচ্ছে- (হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর নেতৃত্বের আনুগত্যে তাওহীদ) এই কথার মানে হলো- শর্তহীনভাবে আনুগত্য তথা- অনুসরন ও অনুকরণ একমাত্র হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অন্য কারো নয়।
আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফলশ্রুতির বাস্তবায়ন এ বিষয়টি গ্রহণের অর্থ হলো- সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে শর্তহীনভাবে একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসরণ ও অনুকরণ করা।
ইসলাম এবং মানব রচিত ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক কমন বিষয় কয়টি ও কি? কি?
উত্তর: ইসলাম ও মানব রচিত ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক কমন বিষয় তিনটি, যথা-
০১- সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব। আরবীতে যাকে বলা হয় রুবুবিয়্যাত।
০২- দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা/ ব্যবস্থার আনুগত্য। আরবীতে যাকে বলা হয় উলুহিয়্যাত।
০৩- নেতার আনুগত্য (অনুসরণ ও অনুকরণ)/ ইতাআত।
মৌলিক কাকে বলে?
উত্তর: যে, উপাদানগুলো ব্যতীত কোন বস্তু বা বিষয়ের অস্তিত্ব ধারণ করা সম্ভব নয়। এমন উপাদানগুলোকেই ঐ বস্তু বা বিষয়ের জন্য মৌলিক বলা হয়।
কমন কাকে বলে?
উত্তর: কমন ইংরেজি শব্দ যার মানে হলো সচারাচর, যা সহজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ- একই বিষয় একাধিক স্থানে পরিলক্ষিত হলে সেটাই কমন।
ইসলাম ও মানব রচিত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মৌলিক কমন বিষয়গুলো কি কি?
উত্তর: ০১-ইসলামে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালানসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়।
অপর দিকে মানব রচিত ব্যবস্থায়- সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের।
০২-ইসলামে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয়।
অপর দিকে- মানব রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দাসত্ব মানুষের, আনুগত্য মানব রচিত ব্যবস্থার, উপাসনা গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো)।
০৩-ইসলামে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর, অন্য কারো নয়।
অপর দিকে মানব রচিত সকল ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক নেতা, নেত্রী বা সরকারের আনুগত্য।
ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি ও কি কি এবং ব্যক্তির অবস্থান ইসলামে স্বীকৃত হওয়ার উপায় কি?
উত্তর: আল্লাহ রাব্বূল আলামীন প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর মৌলিক বিষয় তিনটি-
(ক) আল্লাহর রুবুবিয়্যাতে তাওহীদ- সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়। এ বিষয়টি গ্রহনকারী ব্যাক্তিদের ঘোষণা হচ্ছে- রাব্বুনাল্লাহ- আল্লাহই আমাদের একমাত্র সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা- বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা, অন্য কেউ নয়।
হাদীসের ভাষায় এরই ঘোষণা হচ্ছে, আল্লাহু আকবার – সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর। এটাই আল্লাহর প্রতি ঈমান।
(খ) আল্লাহর উলুহিয়্যাতে তাওহীদ- দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয়। এ বিষয়টি গ্রহনকারী ব্যাক্তির সাক্ষ্য হচ্ছে-
“আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে নেই কোন ইলাহ – দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্বা একমাত্র আল্লাহ ব্যাতীত”। এটাই ‘ইসলাম’ গ্রহনের অঙ্গীকার- একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করার অঙ্গীকার।
(গ) আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বের আনুগত্যে তাওহীদ- শর্তহীন আনুগত্য (অনুসরণ-অনুকরণ) একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের, অন্য কারো নয়।
এ বিষয়টি গ্রহনকারী ব্যাক্তির সাক্ষ্য হচ্ছে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ- আমি সাক্ষ্যদিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল- শর্তহীন আনুগত্য (অনুসরণ ও অনুকরণ) পাওয়ার অধিকারী একমাত্র নেতা, অন্য কেহ নয়। এটাই ‘ইসলাম’ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।
ইসলামের মৌলিক এই তিনটি বিষয় “আল্লাহর প্রতি ঈমান, ইসলাম গ্রহনের অঙ্গীকার এবং ইসলাম বাস্তবায়নের অঙ্গীকার” জ্ঞানের ভিত্তিতে দৃঢ় বিশ্বাসে গ্রহনকারী ব্যক্তির অবস্থানই ইসলামে স্বীকৃত হয়।
জাহিলিয়্যাত কি ?
উত্তর: ইসলাম ব্যতিত মানব রচিত সকল প্রকার ব্যবস্থাই মূলতঃ জাহিলিয়্যাত। মানব রচিত ব্যবস্থাকে কেন জাহিলিয়্যাত বলা হয় এবং এর মৌলিক বিষয় কয়টি ও কি কি ?
উত্তর: মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সীমাবদ্ধ যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, এ কারণে সকল বিষয়ে নিজস্ব মেধা-বুদ্ধি দ্বারা
নিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বিধায়; মানব রচিত ব্যবস্থা জ্ঞানের ভিত্তিতে রচিত নয়, বরং আন্দাজ ও অনুমানের
ভিত্তিতে রচিত এবং মানব রচিত ব্যবস্থায় সার্বভৌমত্ব মানুষের উপর আরোপ করা হয় বিধায়; মানব রচিত ব্যবস্থাকে জাহিলিয়্যাত
বলা হয়।
মানব রচিত সকল প্রকার ব্যবস্থার মৌলিক বিষয় তিনটি – যথা- (ক) সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব
মানুষের যা মূলতঃ আল্লাহর রুবুবিয়্যাতে শিরক। (খ) সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্যের
অঙ্গীকার যা মূলতঃ আল্লাহর উলুহিয়্যাত (ইবাদত) এর সাথে শিরক । (গ) সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষেরই মনগড়া আইনের
ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতার আনুগত্যের- (অনুসরণ অনুকরণের) অঙ্গীকার যা মূলতঃ আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বের আনুগত্যে (অনুসরণ ও অনুকরণে) এর ক্ষেত্রে শিরক।
ইসলাম ও জাহিলিয়্যাত তথা মানব রচিত ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কয়টি ও কি কি ?
উত্তর: ইসলাম ও জাহিলিয়্যাত তথা মানব রচিত ব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য তিন টি: যথা- (ক) ইসলামে- সমাজ ও রাষ্ট্রসহ
মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়। অপর দিকে মানব
রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের। (খ) ইসলামে- দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও
উপাসনা একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয়। অপরদিকে মানব রচিত ব্যবস্থায় দাসত্ব মানুষের এবং আনুগত্য মানুষের মনগড়া
আইন-বিধানের। (গ) ইসলামে- শর্তহীন আনুগত্য (অনুসরণ,অনুকরণ) একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের, অন্য কারো নয়। অপর দিকে মানব রচিত ব্যবস্থায় আনুগত্য মানুষের মনগড়া আইন-বিধানের ভিত্তিতে
নেতৃত্বদানকারী নেতার।
মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহনের অর্থ কি ?
উত্তর: মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহনের অর্থ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায়- ১। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান কর্তৃত্ব মেনে নেওয়া ২।
মানুষের মনগড়া সংবিধান (আইন-বিধান) এর আনুগত্য স্বীকার করা এবং ৩। মানুষের আইন-বিধানের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী
নেতার আনুগত্য স্বীকার করা।
মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহন করলে ব্যক্তির অবস্থান কোথায় হয় ? ইসলামে না জাহিলিয়্যাতে ?
উত্তর: মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বে এবং তাঁর আইন-বিধানের আনুগত্যে ও
তাঁর মনোনিত বিশেষ নেতা আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বের আনুগত্যে র্শিক করা হয়
বিধায়: ব্যাক্তির অবস্থান ইসলামে না হয়ে জাহিলিয়্যাতেই হয়।
আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর লক্ষ্য কি ?
উত্তর: মানব রচিত সকল বাতিল ব্যবস্থার উপর সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ
একমাত্র সত্য জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” কে তাঁরই নির্দেশিত পদ্ধতিতে বিজয়ী করাই এর লক্ষ্য।
আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর উদ্দেশ্য কি ?
উত্তর: সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ প্রদত্ব জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” প্রতিষ্ঠা করা ও প্রতিষ্ঠিত রাখার মাধ্যমে মানুষের দুনিয়ার
জীবনে শান্তি ও কল্যাণ সাধন করা এবং পরকালের জীবনে যারা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভ করতে চায় তাদের জন্য
জান্নাত লাভের ব্যবস্থা করাই আল্লাহ প্রদত্ব জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর উদ্দেশ্য।
কি ভাবে একজন ব্যক্তি জাহিলিয়্যাত ত্যাগ করে ইসলামে আসবে ?
উত্তরঃ জাহিলিয়্যাত ত্যাগ করে ইসলামে আসতে হলে সর্বপ্রথমে জাহিলিয়্যাতের মৌলিক বিষয়গুলো ত্যাগ করে ইসলামের
মৌলিক বিষয়গুলো গ্রহন করতে হবে। অর্থাৎঃ- সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব অস্বীকার
ও অমান্য করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর মেনে
নিয়ে এই বিষয়ের ঘোষণা করতে হবে “রাব্বুনাল্লাহ্” অর্থাৎ আল্লাহ’ই আমাদের (আমার) একমাত্র রব্ব-সার্বভৌম মালিক, সার্বভৌম
আইনদাতা, বিধানদাতা ও নিরংকুশ কর্তা, অন্য কেউ নয়। এটা মূলত আল্লাহর প্রতি ঈমানের ঘোষণা। এরই ফলশ্রুতিতে সমাজ ও
রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থার আনুগত্য অস্বীকার ও অমান্য করে দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর
গ্রহন করে এই বিষয়ের অঙ্গীকার করতে হবে “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নেই কোন ইলাহ
মা’বুদ-দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্বা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। এটা মূলত “ইসলাম” এর অঙ্গীকার।
এরই বাস্তবায়নে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক বাহক নেতা, নেত্রী বা সরকারের আনুগত্য অস্বীকার ও
অমান্য করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে শর্তহীন অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামের গ্রহন করে এই বিষয়ের অঙ্গীকার করতে হবে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল- শর্তহীন আনুগত্য (অনুসরণ,অনুকরণ) পাওয়ার অধিকারী
একমাত্র নেতা, অন্য কেউ নয়। এটা মূলত “ইসলাম” বাস্তবায়নের অঙ্গীকার। এভাবেই ঈমানের ঘোষণা এবং ইসলাম ও ইসলাম
বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেই ইসলামে আসতে হবে।
সার্বভৌমত্ব কাহাকে বলে ?
উত্তর: মানুষের জীবনের সকল দিক-বিভাগসহ সমগ্র সৃষ্টি জগতের চূড়ান্ত মালিকানা এবং হুকুম, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করার সর্বোচ্চ ক্ষমতাকে সার্বভৌমত্ব বলে।
“সার্বভৌমত্বের” মালিক কে হবে ?
উত্তর: সার্বভৌমত্বের মালিক হওয়ার জন্য চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সত্বা হওয়া অপরিহার্য্য বিধায়: আল্লাহই সার্বভৌমত্বের একমাত্র
মালিক। আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ চিরন্তন ও চিরস্থায়ী নয় বিধায় মানুষসহ কোন সৃষ্টিই সার্বভৌমত্বের মালিক নয়, হতেও পারে না।
সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় কি ? রাষ্ট্রের মৌলিক উপাদান কয়টি ও কি কি ?
উত্তর: সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব। রাষ্ট্রের মৌলিক উপাদান ৪ টি, যথা- ১। সার্বভৌমত্ব ২। ভূখন্ড ৩। জনসমষ্টি এবং ৪। সরকার।
সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব কি ?
উত্তর: সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব হচ্ছে- সমাজ ও রাষ্ট্রের মালিকানা এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন-বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা।
মালিকানা কাহাকে বলে ?
উত্তর: মালিক হওয়ার যোগ্যতা, গুন- বৈশিষ্ঠ্য ও এ সবের ভিত্তিতে সত্বাধিকারকেই মালিকানা বলে।